সাফা এবং মারওয়া

সাফা এবং মারওয়া । হাজীরা যেখানে সা’ঈ করেন।

সাফা এবং মারওয়া হল দুটি ছোট পাহাড়, যা যথাক্রমে বৃহত্তর আবু কুবাইস এবং কাইকান পর্বতগুলির সাথে সংযুক্ত । পাহাড় দুটি এখন মসজিদুল হারাম এর অংশ হয়ে গেছে। হজ্জ ও উমরাহ পালনকারীরা সাফা এবং মারওয়া সাতবার সাঈ বা প্রদক্ষিণ করে থাকে। এটি হজ্জ ও উমরাহর ওয়াজিব আনুষ্ঠানিকতা।

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস – মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে হযরত ইব্রাহিম (আ.) তার স্ত্রী হাজেরা (আ.) ও শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.) কে অল্প কিছু খাদ্যসামগ্রীসহ সাফা ও মারওয়ার মরুভূমিতে রেখে আসেন। একসময় তাদের খাবার ও পানি শেষ হয়ে যাওয়ায় বিবি হাজেরা (আ.) শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.) কে রেখে পানির জন্য এই দুই পাহাড়ের মাঝে সাতবার আসা-যাওয়া করেন। প্রথমত তিনি সাফা পাহাড়ে উঠে আশেপাশের এলাকা বা কোনো কাফেলার সন্ধান পাওয়ার আশায় ছিলেন যাতে তাদের কাছ থেকে সামান্য পানি চেয়ে শিশুপুত্রের পিপাসা মেটাতে পারেন।

পরবর্তীতে কোনো কিছুর সন্ধান না পাওয়ায় তিনি পার্শ্ববর্তী মারওয়া পাহাড়ে উঠেন। মূলত, মরুভুমিতে মরিচিকা দেখে পানির আশায় তিনি দৌড়ে যান। সামান্য পানি পাওয়ার আশায় বারবার তার দৃষ্টিভ্রম হয় এইভাবেই সাতবার চলাচলের পর ফিরে এসে তিনি দেখতে পান যে ক্রন্দনরত শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.) এর পায়ের আঘাতে মাটি ফেটে পানির ধারা বের হচ্ছে। মূলত, মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) এর মাধ্যমে এই পানির ধারাটি সৃষ্টি হয়। বিবি হাজেরা (আ.) এই কুয়াটি পাথর দিয়ে বেধে দেন। এরপর থেকে এটি ঐতিহাসিক ‘জমজম কুয়া’ নামে পরিচিত।

এ সম্পর্কিত আরো বিস্তারিত বিবরণ সংযোজিত হবে আমাদের মূল আর্টিক্যালে