মসজিদে কুবা

Quba Mosque | মসজিদে কুবা

মসজিদে কুবার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

ইসলামের ইতিহাসে সর্বপ্রথম নির্মিত মসজিদটির নাম হচ্ছে ‘মসজিদে কুবা’। মসজিদটি পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে ৩২০ কিলোমিটার উত্তরে এবং মদিনার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। মসজিদে নববী থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার। মসজিদটির বর্তমান আয়তন ১৩ হাজার ৫০০ স্কয়ার মিটার।

মহানবী (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার সময় মদিনার অদূরে কুবায় এ মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন৷ কুবা একটি বিখ্যাত কূপের নাম। আর এ কূপকে কেন্দ্র করে যে জনবসতি গড়ে উঠেছে তাকেও কুবা বলা হতো৷ এরই সূত্রে মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছিলো। রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি নিজেকে পরিশুদ্ধ করে কুবার মসজিদে এসে নামাজ আদায় করবে, সে ওমরার সমপরিমাণ সওয়াব পাবে” (ইবনে মাযাহ)। হিজরতের প্রথম দিনেই কুবায় অবস্থানকালে নবী করীম (সা.) মসজিদটির ভিত্তি স্থাপন করেন এবং স্বয়ং নিজে মসজিদ নির্মাণ কাজে সাহাবাদের সাথে অংশগ্রহণ করেন। কুবা মসজিদের জায়গাটি ছিলো হযরত হিদম (রা.) এর খেজুর শুকানোর পতিত জমি। তিনি ছিলেন আমর ইবনে আওফের গোত্রপতি। হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এখানে ১৪ দিন অবস্থান করেছিলেন এবং তার আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন।

মসজিদটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত মসজিদে কুবাকে অনেকবার সংস্কার ও পুননির্মাণ করা হয়। তবে সর্বশেষ ১৯৮৬ সালে বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ সৌদের আমলে অত্যাধুনিক সাদা পাথর ব্যাবহার করে মসজিদটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেন। ইসলামের ইতিহাসে মসজিদে নববীর পর সৌন্দর্য্য ও নান্দনিকতার তালিকায় মসজিদে কুবা অন্যতম। ওমরা, হজ্জ ও দর্শণার্থীদের জন্য মসজিদে কুবা সওয়াব ও সৌন্দর্য্যের অনন্য প্রতীক।